অরুপকথার গল্প
আমি এক মেয়েকে চিনতাম যে ভার্সিটি লাইফে আরাম আয়েশ, মৌজ মস্তিতে জীবন না কাটিয়ে বিয়ের জন্য টাকা জমাতো। মেয়েটা ছিলো আমার রুমমেট। ইডেন কলেজে ক্যামেস্ট্রি নিয়ে পড়া এই মেয়েটা রোজ সকালে উঠে গ্রিন রোড থেকে ইডেন পর্যন্ত হেটে যেত দশ টাকা বাঁচানোর জন্য। অথচ কেউ জিজ্ঞেস করলে হাসিমুখে বলতো, মুটিয়ে যাচ্ছিতো তাই হেটে যাই। কিন্তু আমি জানি সে অনাহারে থেকেও টাকা জমিয়ে যাচ্ছে বিয়ের জন্য। মেয়েটার নাম ছিলো শান্তা। নামের মতো শান্ত শিষ্ট এই মেয়েটি প্রেম করতো ঢাকা ইউনিভার্সিটির এক ছেলের সাথে। শান্তার মুখেই শুনেছি ছেলেটা ওর পাশের গ্রামে থাকতো। শান্তাকে দেখতে রোজ ছুটে আসতো কলেজ ছুটির সময়। এরপর ছেলেটা ঢাকায় এসে ভর্তি হয়। বছর দুই বাদে শান্তাও আসে ইডেনে ভর্তি হয়ে। শান্তার ফ্যামিলির আর্থিক অবস্থা মোটামুটি। প্রতিমাসে ওকে একটা খরচ পাঠায়, ও নিজেও টিউশনি করিয়ে ভালো টাকা রোজগার করতো তবুও দিনাতিপাত করতো চাপিয়ে চাপিয়ে। সপ্তাহে একদিন মাংস কিনে সেটা রান্না করে সিংহভাগই নিয়ে যেত এই প্রেমিক পুরুষ টির জন্য। কখনো কখনো নিজের জন্য এক টুকরোও রাখতো না। আবার আফসোস করে বলতো, "বুঝলি তোর ভাইয়া হলের মাছ মাংস খায় না। একটু শুচিবা