ফেমিনিস্ট

জিনিয়া একজন কট্টর নারীবাদী। শুরুর দিকে শুধু ফেইসবুকে সীমাবদ্ধ থাকলেও, বিগত চার বছর ধরে সে বেশ কয়েকটা ফেমিনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করছে।

সারাদিন বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ায়, তার মতে নারীদেরকে পুরুষের সমপর্যায়ে নিয়ে আসতে হলে সবথেকে বেশি মাঠপর্যায়ে কাজ করতে হবে।
ইতিমধ্যেই আমি কয়েকবার খেয়াল করেছি জিনিয়া রাস্তাঘাটে ওপেনলি সিগারেট খায়। চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে যখন সে সিগারেটে টান দেয়, তখন একদম ডন ডন লাগে। এটা দেখে আমার খুশি হওয়া উচিৎ নাকি কষ্ট পাওয়া উচিৎ কিছুক্ষনের জন্য সেটা বুঝে উঠতে পারিনা। নাদান বাচ্চাদের মতো একটা ভাব নিয়ে তাকিয়ে থাকি ওর দিকে।

আমি সিগারেট খাইনা অথচ আমার বউ চেইনস্মোকার, এটা ভাবতেই আমার গা শিউরে উঠে। মাঝেমাঝে সাহস করে বলে ফেলি,
" জিনিয়া! সিগারেট খেয়োনা, স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। খেলেও বাসার মধ্যে খেয়ো। রাস্তাঘাটে মেয়েদের সিগারেট খাওয়া ব্যাপারটা দৃষ্টিকটু। "
যতোবারই আমি একথা বলেছি, জিনিয়া চট করে রেগে গিয়ে কঠিন গলায় বলেছে,
" ছেলেরা রাস্তাঘাটে সিগারেট খেলে কোন সমস্যা নেই। মেয়েরা খেলেই দোষ? তোমরা পুরুষ জাতি তো চাও মেয়েরা সারাজীবন তোমাদের হাতে জিম্মি থাকুক । "

আমিও তখন পাল্টা যুক্তি দাড় করাই। এক পর্যায়ে আমাদের মাঝে ঝগড়া শুরু হয়, আস্তে আস্তে সেটা অপ্রীতিকর অবস্থার দিকে মোড় নেয়। ঝগড়ার মধ্যেই সে হুটহাট চেচিয়ে বলে,
" শালার ব্যাটা, আজকেই তোর নামে নারী নির্যাতনের মামলা দিমু। আমারে চেনস নাই এখনও। "

আমি তখন কিছুটা শান্ত হই। কারন একজন আগুন হলে আরেকজনকে জল হতেই হয়। নাহলে আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে যাবে যে। সংসারের আগুন খুব মারাত্মক জিনিস । তাছাড়া জিনিয়া হার মানার মতো মেয়ে না, উল্টো তার গালাগালি আরও খারাপ পর্যায়ে চলে যায়। আমার নামে যে মামলা দিবেনা, সেটারও কোন গ্যারান্টি নেই। নারী নির্যাতন মামলাও খুব খারাপ জিনিস।
ওর ধারনা পুরুষ জাতীর কাছে হার মানা নারীদের জন্য চরম অবমাননাকর, হোক সে নিজের স্বামী, বয়ফ্রেন্ড বা অন্য যেকেউ।
আমি শান্ত হয়ে ওকে বুঝানোর চেষ্টা করি,

"দেখো! শালার ব্যাটা গালিটা মেয়েদের মুখে স্যুট করেনা। লোকজন শুনলে খারাপ বলবে।"

" খারাপ বললে বলুক। ছেলেদের মুখে স্যুট করলে মেয়েদের মুখে স্যুট করবেনা কেনো? তোমরা পুরুষেরা পারো শুধু নারীদের দমিয়ে রাখতে।"

" আহা! তুমি নেগেটিভ ভাবে নিচ্ছো কেনো ব্যাপারটা? আমি শুধু বলতে চাচ্ছি তুমি এই শালার ব্যাটা গালী না দিয়ে অন্য গালী দাও, এই যেমন 'হারামী' 'বেঈমান' এরকম! এগুলা হচ্ছে মেয়েলী টাইপ গালী"

আমার এসব কথা শুনে জিনিয়া আরও রেগে যায়। ও ভাবে একজন পুরুষ ওর উপর কর্তৃত্ব খাটানোর চেষ্টা করছে। যেটা সে কিছুতেই হতে দিবেনা।
জিনিয়ার এই নারীবাদী স্বভাব আমার এখন যেমন প্যারাদায়ক মনেহয়, বিয়ের আগে ঠিক ততোটাই ভালো লাগতো। বলতে গেলে আমি ওর এই গুন দেখেই প্রেমে পড়েছিলাম।
সেসময় জিনিয়া ছিলো শুধু ফেইসবুক ভিত্তিক নারীবাদী। ফেইসবুকে ওর পাঁচ হাজারের বেশি ফলোয়ার ছিলো। প্রতিদিন পুরুষদের কটাক্ষ করে জ্বালাময়ী সব স্ট্যাটাস দিতো। আমি সেখানে গিয়ে লাভ রিয়্যাক্ট দিয়ে কমেন্ট করতাম,
" সহমত। নারীদের জয় হোক। পুরুষের শাসন থেকে বেরিয়ে আসুক সকল নারী! "

কিন্তু বিয়ের পর জিনিয়া যে এভাবে আমার শাসন থেকে বেরিয়ে আমাকেই শাসন করবে সেটা কে জানতো তখন?
সব পুরুষের মতো আমারও তো স্বপ্ন ছিলো, বিয়ের পর একটা সুন্দর সংসার সাজাবো।

প্রতিদিন বিকেলবেলা আমি বারান্দায় বসে পত্রিকার পাতায় চোখ বুলাবো। ঠিক সেই সময় জিনিয়া আসবে। ওর পড়নে থাকবে তাতের শাড়ি আর হাতে থাকবে চায়ের কাপ। ওর শরীর থেকে মিষ্টি একটা গন্ধ এসে আমাকে মোহিত করে দিবে।
আমার পাশে বসতে বসতে বলবে, " এই নাও তোমার চা।"
আমি পত্রিকা ভাজ করে টেবিলের উপর রেখে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বলবো,

" জিনিয়া! আজকে তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। একদম মায়াবতী। "

লজ্জায় জিনিয়ার মুখ লালচে আভায় ছেঁয়ে যাবে । আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকবো ওর দিকে।

কিন্তু আমার এইসব স্বপ্ন পুরন হয়েছে ঠিক উল্টো ভাবে।
আমি পত্রিকা পড়ার সময় মাঝেমাঝে সাহস করে জিনিয়াকে ডেকে বলি,

" জিনিয়া! এক কাপ চা দিয়ে যাওতো!"

টিভির সামনে বসে জিনিয়া খুব স্বাভাবিক ভাবে জবাব দেয়,
" নিজে বানিয়ে খাও।"

সবসময় যে এমন করে সেরকম না অবশ্য। মাঝেমাঝে চা নিয়ে আসে। ওর পরনে থাকে জিন্স প্যান্ট, আর টাইট টিশার্ট। বাসার মধ্যেও সে কেনো জিন্স পড়ে থাকে সেটা আমার বুঝে আসেনা। আমি তাকাতে পারিনা ওর দিকে, দৃষ্টি ফিরে আসে।

জিন্স, টপ পড়া মেয়েদের প্রতি সবারই একসময় বিতৃষ্ণা চলে আসে। তবে বাংলাদেশে এমন কোন পুরুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবেনা, যার কিনা শাড়ি পড়া মেয়েদের প্রতি বিতৃষ্ণা এসেছে।

আমি জিনিয়ার হাত থেকে চা নিয়ে আবারও পত্রিকায় মনোনিবেশ করি। কারন আমি জানি জিনিয়া টিভি সিরিয়াল রেখে আমার সাথে গল্প করতে বসবেনা। আর যদি বসেও তাহলে গল্পের মধ্যেই আমাদের ঝগড়া লেগে যাবে। তাই আমিও আর কথা বাড়াই না।

আর এইযে আমাকে চা বানিয়ে খাওয়ালো পরদিন ঠিকই টিভির সামনে বসে আমাকে ডেকে বলবে,

" এ্যাইই সৌরভ! এক কাপ চা বানিয়ে আনো তো!"

সে আমাকে একবার বানিয়ে খাইয়েছে, সমতা বিধানের জন্য আমাকেও তাকে একবার বানিয়ে খাওয়াতে হবে। ওর ধারনা এসব ছোটখাটো ব্যাপারেও পুরুষদের ছাড় দেয়া ঠিক না। আমি আগে ভাবতাম এটা আমার জন্য খুবই লজ্জাজনক। কিন্তু এখন এতোকিছু না ভেবেই চা বানিয়ে নিয়ে যাই।
নাহলে আবার বলবে, "আমি নারী পুরুষ সমান অধীকারে বিশ্বাস করিনা।"

এই পর্যন্ত ঠিক ছিলো। বাকী জীবনটা নাহয় বউয়ের সাথে এডজাস্ট করে কাটিয়ে দিলাম। তাছাড়া উপায়ই বা কি! আমি তো স্বেচ্ছায় জিনিয়ার ব্যাপারে সবকিছু জেনেই বিয়ে করেছি ওকে।
সমস্যা হচ্ছে ইদানীং মেয়েটাকেও সে ছাড় দিচ্ছেনা। ওর ইচ্ছা নারী অধিকার আদায়ের যে কাজ সে শুরু করেছে সেটা শেষ করবে তার একমাত্র মেয়ে ঐশী। এজন্য মেয়েটাকে নিজের মতো নারীবাদী করে তোলার জন্য নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
মাঝেমাঝে মেয়েকে নিজের সামনে বসিয়ে উপদেশ দেয়,

" মা শোনো! কখনও পুরুষের হাতে জিম্মি হয়ে থাকবেনা। নিজের অধিকার নিজেকেই আদায় করে নিতে হবে। দরকার হলে ব্রা, প্যান্টি ছাদে শুকাতে দিয়ে আসো। ছেলেদের মতো জিন্স, শার্ট পড়ো। ছেলেদের মতো হেয়ার কাট দাও। ওদের মতো রাস্তায় দাড়িয়ে সিগারেট খাও। সবসময় ভাববা, পুরুষ যে কাজ করতে পারে একজন নারী হয়ে তুমিও সে কাজ করতে পারো। নিজেকে কখনও পুরুষের থেকে দুর্বল মনে করবেনা।"

আমি পত্রিকার পাতায় চোখ রেখেই জিনিয়ার কথাগুলো মন দিয়ে শুনি। তাছাড়া উপায় কি? ঐশী তো আমারও মেয়ে। ওর ভালোমন্দ খোজখবর রাখা তো আমারও দায়িত্ব। একসময় আমি পত্রিকা পড়ার ভান করেই বলি,

" জিনিয়া! তুমি তো নারীদের অধীকার নিয়ে কাজ করছোনা। তুমি পুরুষদের হিংসা করছো। পুরুষদের অনুকরণ করার চেষ্টা করছো। এটা তো ঠিক না। "

এসব কথা শুনে সে চোখ লাল করে আমার দিকে তাকিয়ে বলে,
" ঠিক বেঠিক তোমার কাছ থেকে শিখতে হবে আমার?"

আমি ওর চোখে চোখ রাখার সাহস পাইনা। এমন ভান ধরি যে, এখন আমার সম্পুর্ণ মনোযোগ পত্রিকার পাতায় আবদ্ধ।

কিন্তু এইযে নিজের মেয়েকে এসব আজেবাজে কথা বলে উস্কিয়ে দিচ্ছে, একজন বাঙালি বাবা হয়ে তো আমি সেটা মেনে নিতে পারিনা। আমি চাই আমার মেয়ে একজন আদর্শ বাঙালি মেয়ে হয়ে উঠুক। শার্ট প্যান্টের পরিবর্তে শাড়ি ওর প্রিয় হয়ে উঠুক।
আমি ওকে শরৎচন্দ্র, সমরেশ, হুমায়ূন আহমেদের বই কিনে দেই, যাতে সেগুলা পড়ে বাঙালি মেয়েদের বৈশিষ্ট্য হাসিল করতে পারে।
কিন্তু জিনিয়া ওসব বই পড়তে দেখলেই রেগে গিয়ে বলে

" কিসব পড়ছো? এসব পড়ে কোন লাভ নেই।"

তারপর সে ঐশীর হাতে তসলিমা নাসরিনের বই তুলে দিয়ে বলে, "এগুলা পড়ো। কাজে লাগবে।"

ধীরে ধীরে মেয়েটাও মায়ের মতো হচ্ছে আর আমার টেনশন বাড়ছে। বাসায় এরকম দুজন মেয়ে মানুষের সাথে আমি একলা পুরুষ মানুষ কিভাবে মানিয়ে নিবো সেটা ভেবেই আমার হার্টবিট মিস হয়।
ইদানীং ঐশী ফেইসবুকে একটা গ্রুপ খুলে কাজ শুরু করেছে। গ্রুপের নাম দিয়েছে "আমরা সবাই নারীবাদী পোলাপাইন"।
সেদিন আমার কাছে এসে বলতেছে,

" বাবা! তোমাকে আমার গ্রুপের মডারেটর বানিয়েছি। বেশি বেশি মেম্বার এড করো। মেম্বার এড করার উপর পুরুস্কারের ব্যবস্থা আছে।"

আমি মনেমনে বলি, "বেয়াদব মেয়ে! বাবার পকেট থেকে টাকা নিয়ে বাবাকেই দিবি পুরুস্কার?"

সরাসরি আমি মেয়েকে কিছুই বলতে পারিনা। কিছু বললেই মায়ের কাছে অভিযোগ দিবে। শুরু হবে আরেকদফা ঝগড়া। ঝগড়া করতে করতে আমি টায়ার্ড হয়ে গেছি। সবাই বলে ঝগড়া হলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে রোমান্টিকতা বাড়ে। আর আমি বিশ বছরের সংসার জীবনে রোমান্টিকতা কি জিনিস, সেটাই বুঝলাম না।

আস্তে আস্তে ঐশী বড় হয়। ভার্সিটিতে উঠে সেও বেশ কয়েকটা সংগঠনের সাথে কাজ করা শুরু করেছে। শুনেছি কিছু ছেলে ওর কাজের বিরোধিতা করায় তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। এখন তারা জেলের ভাত খাচ্ছে।
আবার টিকটকার ছেলেদের মতো হেয়ার কাট দিয়ে চুলে সোনালি কালারও করেছে। দেখতে ওর মায়ের মতোই ডন ডন লাগে।

মেয়ের এমন বিপর্যয় দেখে ভাবলাম একজন ভালো ধার্মিক লোকের সাথে বিয়ে দিতে পারলে হয়তো মেয়েটা ঠিক হবে। ভালো মানুষের সাহচর্যে থাকলে তার কিছু প্রভাব তো মেয়েটার উপর পড়বেই।
রাতে জিনিয়ার সাথে কথা বলার মাঝে হুট করেই মেয়ের বিয়ের টপিক তুলে বললাম,

" শুনছো? মেয়েটা তো বড় হয়েছে। ওর তো একটা বিয়েটিয়ে দেয়া দরকার। আমি ভাবছি....."

কথা শেষ করার আগেই জিনিয়া আমাকে থামিয়ে দিয়ে বলে,

" সেটা নিয়ে তোমাকে একদম চিন্তা করতে হবেনা। আমি ছেলে ঠিক করে রেখেছি, নাম রিকি। একদম খাসা ফেমিনিস্ট ছেলে। ঐশীরও পছন্দ।"

মেয়ের বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে, অথচ আমি বাবা হয়ে কিছুই জানতে পারলাম না। এটা আমার জন্য খুবই অপমানজনক। আমার ইগোতে লাগলো ব্যাপারটা। আমি প্রতিবাদ করে বললাম,

" মানে কি? আমাকে না জানিয়েই ছেলে ঠিক করে ফেলেছো? বাবা হিসেবে আমার মতামতের কি কোন দাম নেই?"

" আহা! নেগেটিভ ভাবে নিচ্ছো কেনো? সবকিছু ঠিকঠাক করে তোমাকে তো জানাতাম সব।"

" সবকিছু ঠিকঠাক করে জানাবা মানে? আমাকে ছাড়াই সব ঠিক করে ফেলবা? "

" তো? ইজ দেয়ার এনি প্রব্লেম? বাবা মেয়ের বিয়ে ঠিক করতে পারলে, মা কেনো পারবেনা? তোমরা পুরুষেরা তো সবসময়ই চাও মেয়েদের দমিয়ে রাখতে।"

আবারও ঝগড়া লাগে আমাদের৷ গালাগালির পর্যায়ে যাওয়ার আগেই আমি চুপ হয়ে যাই। এই বয়সে বউয়ের গালাগালি শুনতে কারই বা ভালোলাগে? বয়স বাড়লে তো মানুষের সহ্যশক্তি কমে যায়। পরে কি না কি করে ফেলি তার নিশ্চয়তা নেই।
.
ফেইসবুকে ঢুকলেই ইদানীং ঐশীর স্ট্যাটাস সামনে চলে আসে। জ্বালাময়ী সব নারীবাদী স্ট্যাটাস। প্রতিটা স্ট্যাটাসেই ঐশীর হবু স্বামী রিকির কমেন্ট,

" সহমত। নারীদের জয় হোক। পুরুষের শাসন থেকে বেরিয়ে আসুক সকল নারী।"

আমি ছেলেটার কমেন্টে "হাহা" রিয়্যাক্ট দিতে গিয়েও থেমে যাই। তারপর পুরনো স্মৃতি মনে করে হাসতে হাসতে বলি,

" বেটা! বিয়েটা হোক তারপর বুঝবা মজা। কিভাবে তোমার শাসন থেকে বেরিয়ে এসে তোমাকেই শাসন করা শুরু করবে বুঝতেই পারবানা। "


লিখাঃ Muhammad Sajjad

Popular posts from this blog

₪ সিনিয়র আপুর সাথে প্রেম [post no:-22]

হ্যাপি কাপল

₪ ছেলেটি মেয়েটাকে অনেক ভালোবসতো [post no:-18]

বড় বোন থাকার ১৫টি মজার দিক

₪ বুদ্ধিমান মানুষ চেনার উপায় [post no:-16]

মাইকেল জ্যাকসন 150 বছর বাঁচতে চেয়েছিলেন

অবহেলা

₪ ছোট বোনের থেকে টাকা ধার [post no:-27]

ডিপ্রেশন

এক চালাক ব্যক্তি [ post no: 11 ]