Posts

Showing posts from March, 2022

একটি মেয়ের গল্প

 একবার একটি পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে এক মেয়ের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল। কিন্তু সেটা আমার বা তার কারো জন্যই সুখপ্রদ ছিলোনা। কেন ছিলো না সেই গল্পই আজ বলবো।স্বামী, সন্তানদের নিয়ে আমি আমার শ্বশুর বাড়ির একজন নিকটাত্মীয়ের গায়ে হলুদের দিন তাদের বাসায় উপস্থিত হই।সেখানে নিকটাত্মীয়ের কাছের, দূরের অনেক স্বজনরা ছিলেন যাদের মধ্যে একটি মেয়ে এবং তার মা ছিলেন।মেয়েটির নাম আঁখি। পড়ে সবেমাত্র ক্লাস নাইনে। তবে এরইমধ্যে ছলাকলায় বেশ পারদর্শী হয়ে উঠেছে। পোশাকেও যথেষ্ট স্মার্ট। পরিচয়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখলাম সে আমার স্বামী আর বাচ্চাদের সাথে বেশ খাতির জমিয়ে ফেলেছে। আঁখি কিন্তু যথেষ্ট মোটা ছিলো। পিঠ খোলা ব্লাউজ আর লাল পার,হলুদ শাড়ি পেট বের করে পরার কারণে ওকে মোহনীয় লাগার বদলে কেমন যেন হাস্যকর লাগছিলো! কিন্তু বেচারি সেটা বুঝতে পারলে তো? যাইহোক, গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ করে সবাই যখন যার যার রুমে ফিরে যাচ্ছি তখন হঠাৎ আঁখি এসে আমার স্বামীকে বললো, " ভাইয়া, আপনার সাথে তো আমার ছবি তোলা হয় নি, আসেন না আমরা একটা ছবি তুলি? " আমার স্বামী প্রবর ভেবেছেন ওনার সন্তানদের বায়না পূরণের মতো এটাও একটা ছেলেমানুষী বায়না!

রিয়্যাক্টর কিং

 আমার যেদিন বিয়ে হলো সেদিন রাতেই আমার একমাত্র শালা আমার থেকে আমার ফেসবুক আইডি চেয়ে নিয়েছে। আর বলেছিলো যে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্টও নাকি পাঠিয়েছে। যেন অ্যাক্সেপ্ট করে নেই। কিন্তু এই ক'দিন বিয়ের ঝামেলা এবং ব্যস্ততায় ওর রিকুয়েস্ট দেখা তো দূর,আমি আমার সোনার আইডিটাতেই ঢুকতে পারিনি। আজ সকালে চাপমুক্ত হয়ে ভাবলাম একবার ফেসবুকে যাই। ফেসবুক খোলার পর দেখলাম অনেক পাবলিক বিয়ের কথা জানতে পেরে আইডিতে অভিনন্দন দিয়ে ভড়িয়ে ফেলেছে। লাস্ট পোষ্ট যে আমার কোথায় তলিয়ে গেছে খুঁজে পাওয়াই যেন মুশকিল। যাহোক, আমি রিকুয়েস্ট চেক করতে গিয়েই দেখলাম অদভুত রকম নামের একটা আইডি দিয়ে রিকুয়েস্ট এসেছে। অ্যাকসেপ্ট না করে আগে প্রোফাইল চেক করতে ঢুকলাম।  আইডির নাম "রিয়্যাক্টর কিং"। ছবিতে আমার শালা শিহাবের একটা ছবি। যাক, বুঝলাম তবে এই রিয়্যাক্টর তবে আমারই শালা। যাইহোক, আসলে নামটা বলা যতটা সহজ উচ্চারণ করা তার চেয়েও কঠিন। কেননা নামটা আসলে বাংলায় দেয়া নেই। স্টাইলিশ ও উদ্ভট রকমের এক ফন্টে লিখা আছে। মুহূর্তের জন্য হলেও ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ এর উপর ভিষণ রাগ হলো আমার। আমি আমার নাম বাদে অন্য কোনো নামে ফেক আইডিই খুলতে পারি

বিয়ের দিন বউ এর বড় বোন কে দেখে রীতিমত বড় রকমের একটা ধাক্কা খেলাম,

বিয়ের দিন বউ এর বড় বোন কে দেখে রীতিমত বড় রকমের একটা ধাক্কা খেলাম, এতো আমারই প্রাক্তন। স্কুলে পড়াকালীন সময়ে লিলির সাথে ২ বছর সম্পর্ক ছিলো, কিন্তু ছাত্রজীবনেই তার বিয়ে হয়ে যায়। এর পর আর যোগাযোগ হয়নি। এত বছর পর এভাবে দেখা হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি। না পারলাম কাউকে কিছু বলতে,  না পারছিলাম সহ্য করতে, ইচ্ছে করছিলো বিয়ের আসর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাই। কিন্তু তা আর হলো না। বিয়েটা হয়েই গেলো। বাবা মায়ের পছন্দে বিয়ে টা করেই ফেললাম, কিন্তু কে জানতো এমন একটা বিব্রতকর পরিবেশে পরতে হবে। বিয়ে করে বউ নিয়ে বাড়ি ফিরছি,  আর চিন্তা করছি। বউকে কি সব আগেই বলে দিবো, নাকি গোপন রাখবো বুঝতেই পারছি না। অনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নিলাম, যাকে নিয়ে জীবন পার করবো তার কাছে এতো বড় সত্যি গোপন করা ঠিক হবে না। কিন্তু বলে দিলে যদি দুই বোনের মধ্যে কোনো সমস্যা হয়। বিয়েটা পারিবারিক ভাবে হওয়াতে বিয়ের আগে আমার বউ মানে মিলির সাথে ভালোভাবে কথা বলারও সুযোগ হয়ে উঠেনি। আর সত্যি বলতে মেয়েটা এতো বেশিই সুন্দর এতো বেশি মায়াবতী যে আমি প্রথম দেখেই আর না বলতে পারিনি। মিলিকে আমার ঘরে রেখে গেলো ,  আমি রীতিমতো ঘামতে শুরু করলাম।

"দিন শেষে একজন গল্প করার মানুষ থাকা দরকার"

 দিন শেষে একজন গল্প করার মানুষ থাকা দরকার, যার কাছে নিজের একান্ত বলে কোন কিছু লুকাতে হবে না, বরং সব কিছু নিখুঁত ভাবে প্রকাশ করে অভয় পাবো হালকা হবার। দিন শেষে একজন গল্প করার মানুষ থাকা দরকার, প্রচন্ড মন খারাপে যে মজার মজার গল্প শুনিয়ে মন ভালো করার চেষ্টায় মেতে উঠবে, চোখের কোন ঘেঁষে জল বুকের উপর গড়িয়ে পড়ার আগেই হাত পেতে জলের ফোঁটাটা গ্রহণ করে বলবে-- আরে বোকা আমি তো আছি, কিছুই হয়নি মূল্যবান চোখের জল নষ্ট করার। দিন শেষে একজন গল্প করার মানুষ থাকা দরকার, কোনো কিছু নিয়ে যখন খুব ডিপ্রেশনে নিজেকে নিঃস্ব রিক্ত মনে হবে, দিশেহারা হয়েও কোনো পথ খুঁজে পাওয়া যাবে না, তখন সে ম্যাজিশিয়ান হবে ডিপ্রেশন কাটিয়ে তুলবার। দিন শেষে একজন গল্প করার মানুষ থাকা দরকার, যার কাছে বিনা সংকোচে নিজেকে খুচরো পয়সার মতো জমানো ও ভাঙ্গানো যায়, যার সাথে সুখ-দুঃখ কোনো কিছুই ভাগাভাগি করতে গিয়ে ভাবতে হবে না দুইবার। দিন শেষে একজন গল্প করার মানুষ থাকুক সবার যে তার ভিতর-বাহির সবটাকে খুব ভালো করে  ক্ষমতা রাখবে বুঝবার। লেখাঃ Amdadul Haque Milon

নারী

 ইন্টারভিউ রুমে দেখে নিজের বসকে দেখে থমকে যায় সোহান।ইনিই তো সেই মেয়ে যাকে সে ভীড়ের মাঝে রাতের আধারে বাজে ভাবে হ্যারাস করছিলো।তার স্পর্শকাতর স্থানগুলো স্পর্শ করে নিজের লালসা মিটাচ্ছিলো!ইরা খুব ভালোভাবেই সোহানকে চিনতে পেরেছিলো।শুরুতেই কোনো সিনক্রিয়েট না করে সে অতি ভদ্রতার সাথে সোহানকে বসার অনুরোধ জানায়। "প্লিজ সিট।" সোহান বসে।ইরা কাগজপত্র দেখতে দেখতে বলে,,, "তো আপনিই সোহান মাহমুদ? " "জ্বী।" "প্রাতিষ্ঠানির শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া আপনার আর কোনো গুণ আছে?" "সব মানুষেরই আলাদা ট্যালেন্ট থাকে।আমারও আছে হয়তো।কিন্তু তা আমার জানা নেই।" বিচক্ষণতার সাথে উত্তর দেয় সোহান।ইরা তাচ্ছিল্যের হাসি হাসে।বাঁকা হাসি দিয়ে বলে,,, "কিন্তু আমার জানা আছে।আপনি খুব ভালোভাবে মেয়েদের হ্যারাস করতে পারেন।আমি কালকে তার প্রমাণও পেয়েছি।" সোহান কি বলবে বুঝতে পারে না।মাথা নিচু করে বসে থাকে।ইরা আবার বলা শুরু করে,,, "ভাগ্যের কি অদ্ভুত খেলা তাই না?আপনি যাকে ভীড়ে যাকে কালকে হ্যারাস করলেন।যাকে ভোগের সামগ্রী ভাবলেন আজ সেই আপনার ইন্টারভিউ নিচ্ছে।বাট সরি টু সে আমি আপনাকে

হ্যাকার

 শিলার ফেসবুক আইডি টা হ্যাক হয়েছে। এতে অবশ্য শিলার কোন দুঃখ বা আক্ষেপ নেই। শিলা দেশের নামকরা এক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রী। ফেসবুকে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ তার সাথে যুক্ত তার দারুণ লেখালেখির জন্য।  আজ বিকালের পর থেকে কাছের আত্মীয়-স্বজনরা শিলাকে ফোন করতে থাকে। সবার একই প্রশ্ন এসব উল্টাপাল্টা পোস্ট শিলা শেয়ার কেন করছে। তার কি মাথা খারাপ হয়ে গেলো নাকি হঠাৎ। মোটামুটি কয়েকজনকে- শিলা জানালো, তার ফেসবুক আইডিটা হ্যাক হয়েছে। এর পরেই শিলার কিছু কাছের বন্ধুবান্ধব ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শিলার আইডি হ্যাক হওয়ার  বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করে সবাইকে। যাতে করে কেউ বিভ্রান্ত/ প্রতারিত  না হয় কোন ধরনের বার্তায়। আইডি হ্যাক হওয়ার পরের দিন রাতে হ্যাকার শিলা কে ফোন করেঃ -হ্যালো! কে বলছেন? -আমি একজন হ্যাকার, আপনার আইডিটা আমি ই নিয়ন্ত্রণ করছি এখন। -বেশ তো! কেমন লাগছে নিয়ন্ত্রণ করতে? -ভালো লাগছে না।আসুন লেনদেন টা শেষ করি।এমন আইডি আমার কাছে অনেক আছে।টাকা পেলেই, আইডি ফিরিয়ে দেই।  -আমার আইডি ফেরত লাগবে না।ওটা আপনি ই চালান। হ্যাকার বেশ অবাক।এই প্রথম কেউ এভাবে বললো! -কি অদ্ভুত, এমন তো কেউ আগে বলে নি।আচ্ছা আচ্ছা

বুদ্ধিমান বাবা

সকাল বেলা মায়ের চিৎকার আর থালা বাটি ছোড়ার শব্দে ঘুম ভেঙে গেল।রান্নাঘর থেকে মায়ের চিৎকারের শব্দ ভেসে আসছে।উহু,মাকে নিয়ে আর পারা যায় না। অসম্ভব রাগী,বাবার উপর বেশি রাগ দেখায় আমরাও বঞ্চিত হই না।আমি আর ছোট বোন অনন্যা এক ঘরে থাকি। অনন্যা ঘুমাচ্ছে।  খাট থেকে আস্তে করে নেমে বাবার ঘরে গেলাম।আহারে আমার সহজ, সরল গো বেচারা বাবা,মুখ কালো করে বিছানায়  বসে আছে।বাবা ব্যাংকে চাকরি করেন।  বাবার পাশে যেয়ে মাথায় হাত দিয়ে বললাম , আজ আবার কি হলো বাবা?পরশুদিনই তো মা চেচাঁমেচি করলো। পরশু দিনের রেশ আজও চলছে রে অবনী।অনন্যা  আমাকে বললো না, তোর মাকে মধু খাওয়াতে। মধু খাওয়াতে যেয়েই তো সর্বনাশ। তুমি মাকে মধু খাওয়াতে গিয়েছিলে? কি আশ্চর্য! বাবা তোমাকে নিয়ে আর চলে না। পরশু দিন বাবা অফিস থেকে ফেরার সময়, সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস  কিনে এনেছে। যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার চা পাতা সেটা আনতেই ভুলে গেছে। সকালবেলা চা না খেলে মায়ের মাথা ব্যাথা করে। শুরু হলো মায়ের চিৎকার। বাবা করুণ মুখে আমাদের ঘরে এসে বসলেন।  অনন্যা বলে উঠল, আচ্ছা বাবা, মা সারাক্ষণ এই রকম বকাঝকা করে কেন?একটুও ভালো করে, মিষ্টি করে কথা বলতে পারে না?  বুঝলি অনন্যা,

নারীদিবসে নারী হয়েও কিছু নারীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে আজ বাধ্য হচ্ছি।

নারীদিবসে নারী হয়েও কিছু নারীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে আজ বাধ্য হচ্ছি। ১/ দশ বছর বয়স থেকে হিজাব পরা শুরু করেছিলাম।কিন্তু আফসোস! উৎসাহ না দিয়ে তখন কিছু নারীরা বলেছিলেন, "এইটুকুন মেয়ে হয়ে পর্দা করছো কেন?" অথচ, তখন অনেক পুরুষ বলেছিলেন, "মাশাআল্লাহ! তুমি এভাবেই থেকো মা!" ২/ নিজেকে সম্পূর্ণ আবৃত করে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অনেকবার মেয়েদের থেকেই শুনতে হয়েছে, "উফ!এত খ্যাঁত"। অথচ, নেশাখোর গুন্ডা ছেলেগুলোও সরে গিয়ে আমায় রাস্তা দিয়েছিল। ৩/ এখনোও মনে পড়ে, পাঁচ তলা ভবন থেকে একটা মেয়ে একটা বাচ্চাকে লক্ষ্য করে বলেছিল," ঐ দেখ কালো ভূত!কান্না বন্ধ করো নয়তো তোমার ঘাড় মটকে দেবে।" একই সাথে মনে পড়ে,এমন অনেক গাড়ি চালকদের কথা। যারা আমার থেকে গাড়ি ভাড়া নেয় নি, আমায় পর্দা করতে দেখে বলে। ৪/ একবার রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু অনাবৃত মেয়েদেরকে দেখেছি।যাদের দিকে তাকিয়ে কিছু ছেলেরা চোখ টিপে হাসছে।ভয়ে যখন আমি থমকে গেছি, তখন ছেলেগুলো মাথা নত করে বলল "সরি আপু!আপনি চলে যান।" ৫/ ১ সপ্তাহ আগের কথা। এমনি এক মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, "What! কিন্তু তার সাথে থাকা ছেলেটি মেয়ে

তারা কে ছিল??

 - মামা আমি আর যামু না, আপনেরে এহেনেই নামা লাগবো। নিলয় মানিব্যাগ থেকে দশটাকা বের করে বললঃ আরে মামা চলো আরও দশটাকা বেশি দিচ্ছি। এই আর দুইটা গলিই তো বাকি। রিকশাওয়ালা মাথা দু দিকে হেলিয়ে বললঃ না মামা। আমি যামু না। ম্যালা রাইত হইয়া গেসে, আমি এখন বাড়ি যামু। নিলয় রিকশাওয়ালার ভাড়া মিটিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা শুরু করলো। শুক্লপক্ষ চলছে। আকাশে জ্বলজ্বল করে জ্বলছে চাঁদমামা। চাঁদের আলোয় চারপাশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। নিলয়ের হাঁটার শব্দ ছাড়া চারপাশে আর কোনো শব্দ নেই। নিলয় ছাব্বিশ বছরের যুবক। রিকশাওয়ালার সাথে এই ঝামেলা নিলয়ের নতুন নয়। সপ্তাহে তিনদিন নিলয়কে এই ঝামেলা পোহাতে হয়। নাইট ডিউটি থাকায় সপ্তাহে তিনদিন নিলয়কে রাত করে বাড়ি ফিরতে হয়। চৌরাস্তা পর্যন্ত আসার পর আর কোনো রিকশাওয়ালা যেতে চাই না। বাকি দুটো গলি নিলয়কে হেঁটেই যেতে হয়। আজও যেতে হবে। এখন রাত প্রায় পৌনে দুটো। নিলয় অলসভাবে বাড়ির দিকে এগোচ্ছে। এমন সময় নিলয় দেখলো গাছের আড়াল থেকে বেড়িয়ে কে যেন তার দিকে এগিয়ে আসছে। নিলয় কিছুটা চমকে গিয়ে  দাঁড়িয়ে পড়লো। অবয়বটি কিছুটা এগিয়ে আসতেই নিলয় বুঝলো ওটা একটা নারীমূর্তি। আরও কিছুটা এগিয়ে আসতেই নিলয় মুচকি হাসল তারপর