তাদেরও জীবন আছে
প্রাইভেট শেষে আমি আর ফাহিম চা খাচ্ছি। চারদিকে সবাই ব্যাস্ত নিজেকে নিয়ে। পড়ন্ত বিকেলে সূর্য হাসছে পশ্চিম আকাশে। হটাৎ আমি আর ফাহিম খেয়াল করলাম একটি ক্ষুদার্থ কুকুর তাকিয়ে আছে আমদের দিকে। ফাহিম কাছে গেলো এবং কুকুর টিকে স্পর্শ করলো। আবেগ প্রবণ ভাষায় মায়াবী দৃষ্টিতে কুকুরটি কি যে বলতেছিল। আমি আর ফাহিম বুঝার চেষ্টা করছি। কিন্তু বোবা প্রানীর ভাষা কি আর বুঝা যায়??
.
অবশেষে আমি আর ফাহিম এই সিদ্ধান্তে পৌছালাম যে কুকুরটি খাবার চাচ্ছে। আমরা রুটি কিনে দিলাম। ফাহিম কুকুরটিকে নিজ হাতে খাবার
দিচ্ছিলো আর আমি তাকিয়ে দেখছিলাম। ফাহিম অনেক খুঁশি। সাথে কুকুরটি, দোকানদার মামা এবং আমিও খুঁশি। মনটা যেন অনেক বেশি হালকা লাগছে।
.
চা খাওয়া শেষ! শেষ হলো কুকুরটির রুটি খাওয়া। এবার যে আমাদের ফিরতে হবে। চা ওয়ালা মামাকে টাকা দিয়ে ফেরার সময় কুকুরটিও পিছু নিলো। আমি আর ফাহিম তাকে থাকতে বলছি। সে যেন কিছু বুঝতে চায় নাহ্। কিছুখন মাঠের চারদিকের রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম কুকুরটির সাথে।
অবশেষে কুকুরটিকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বিদায় নিলাম।
#নোট: এদেরও জীবন আছে। ক্ষুদা আছে, আবেগ ও অনুভূতি আছে আরও আছে হারানোর শোক। আমরা হয়তো আমাদের ভাষায় আমাদের কষ্টগুলো কাউকে বলে হালকা করতে পারি কিন্তু তাদের কথাগুলো যেন একান্তই ব্যাক্তিগত।
লেখাঃ রাকিব মাহমুদ