একটি সোনার চেইন কিবা সোনালী দিনের গল্প
বিয়ের পর বরকে নিয়ে প্রথম বাপের বাড়ি এলাম।সেই খুশিতে পাড়া প্রতিবেশিরা দলে দলে দেখতে এলো নতুন জামাইকে সাথে অবশ্যই আমাকে।
দেখতে এলো,মেয়ে বিয়ে দিয়ে আব্বা আম্মা কতটুকু জিতেছে।
সরাসরি বলতে গেলে মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে কতটুকু সুখে থাকবে বা বহাল তবিয়তে থাকবে তার পরীক্ষা নীরিক্ষা চলছে সারাদিন যাবৎ।
খুটিয়ে খুটিয়ে আমার শাড়ি কতটা দামী,হাতের চুড়ি কত ক্যারেট গোল্ড,কানের দুল কতো ভারী,গলায় চেইন আছে কিনা সব বিশ্লেষণ করতে বসলো।
পাশের বাড়ির চাচী তো বলেই বসলেন।কিরে মুনা, তোর গলায় চেইন নাই কেন?
জামাই চেইন দে নাই?
কি ভাবী মেয়ের গলা খালি কেন!!
আম্মা আমতা আমতা করে বললেন,আর কইয়েন না ভাবী,মেয়ে আমার কোন্থেকে যে এতো আতইশ্যা হইছে,
হাতে,কানে, গলায় কিছু রাখতে চাইনা।
গলার চেইন পড়তে নাকি তার আজাব আজাব লাগতেছে।আর ভাবী চেইনটা ও যা ভারী মনে হয় তো গলা কাইটা যাইবো।
তাই খুলে রাখতে বলছি।
বাদ দেন ভাবী,জামাই কেমন লাগলো সেইটা বলেন।
না ঠিক আছে, জামাই তো মাশাল্লাহ।
বুঝছেন ভাবী, শিউলির বিয়েতে গোটা দশভরী অলংকার পাইছে।এই অলংকার, মোহরানা,এগুলো হইলো মেয়ের সিকিউরিটি। এগুলোর ব্যাপারে ছাড় দিতে নাই।মাইয়ারে বলছি,জামাই বেশি তিড়িং বিড়িং করলে সব গয়নাগাটি নিয়ে আইসা পড়বি।
বড় আপা ও বিয়ে উপলক্ষে বাপের বাড়ি এলেন।অলংকারে মোড়ানো তার পুরো শরীর।মনে হচ্ছে যেন আমার না ওরই নতুন বিয়ে হলো।
হাত ভর্তি দুই জোড়া মোটা সোনার বালা।তার মাঝে আবার রংবেরংয়ের চুড়ি।
আমি বলি আপা,এসব কেমনে পড়ে থাকো।অস্বস্তি লাগে না?
ওমা,অস্বস্তি লাগবে কেন,বিয়ে বাড়িতে আত্মীয়স্বজনের চোখই তো থাকে গায়ের সোনা দানার দিকে।
টুংটাং চুড়ির ভাজে আপার হাতের কালো দাগটা চোখে লেগে রইলো।
যেটা বিয়ের অল্প ক বছরের মাথায়,আপার ছোট্ট একটা ভুলের শাস্তিস্বরূপ দুলাভাই জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে হাত পুড়িয়ে দিয়েছিলেন।
সেই পোড়া দাগটার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরুলো বুক চিড়ে।
ভাবতে লাগলাম,কেন এই মিছে সুখের ভান?!
সন্ধ্যে নামলো।বরমশাই বন্ধু বান্ধবদের বিদায় দিতে বের হলেন।
সবাই চলে যাবার পর মাকে জিজ্ঞেস করলাম,চাচীরে মিথ্যা বললা কেন?
মা বললো, না বলে উপায় আছে,তোর বাপরে এতো কইরা বললাম, গয়না গাটির ব্যাপারে ছাড় দিবানা,হাত,কান,গলা কোনটা যেন বাদ না যায়,
নাহ্ তোর বাপ আসছে হাতেম তায়ী।
লোকজন কি ভাবতেছে বলতো,চেয়ারম্যানের মেয়ে বিয়ে দিছে ফুটা মাইনষের লগে।
আম্মাকে থামিয়ে বললাম,আম্মা প্লীজ আস্তে বলো।তোমার জামাই শুনতে পাবে।
আর শোন,মানুষ ভালা হইলে এতো কিছু লাগেনা!
হইছে তুই কথা একটু কম ক।
হইছিস পুরা বাপের মতন।বুদ্ধি সুদ্ধি মাথায় কিচ্ছু নাই।
কি কইতাছি মন দিয়া শোন,
এইখান থেইকা গিয়াই জামাইরে বুঝাইয়া শুনাইয়া একটা চেইন বানাই নিবি।
প্রথম থেইক্যা চাইপ্যা না ধরলে পুরুষ মানুষ গায়ে বাতাস লাগাইয়া বেড়ায় বুঝলি।
পরের বার যেন গলা খালি না থাকে।
দুদিন পর নিজ সংসারে ফিরে এলাম।মা তো রোজ ফোনেই অস্থির বলছিস কিছু?
আমি বললাম, কি বলবো?
কি বলবি মানে? চেইন বানানোর কথা বলিস নাই এখনো!!
এই চেইন তো বিয়াতে ধরাই ছিলো।বেইমানী টা করলো কীভাবে?
আমি বলি আম্মা ধোকাবাজি তো তোমরা ও করছো।মেট্টিক পাশ মেয়েকে ইন্টারপাশ বলে চালাই দিছো।
মেট্টিক,ইন্টার দিয়া কি সংসার চলবো।তুই হলি চেয়ারম্যানের মাইয়া।রুপ গুন কিছু কম আছে।
শুধু পড়ালেখায় নাই দেইখাই তো এই ছেলের কাছে বিয়া দিছি।
আমি বিরক্ত হয়ে বললাম,আম্মা এইসব গয়না গাটি আমার কাছে অস্বস্তি লাগে।বানাইলে ও বাক্সের মধ্যে পরে থাকবে।তুমি এইটা নিয়া কথা বইলো না তো!!
বুঝছি আম্মার এখন সমাজের চোখে আমাকে রাজরানির বেশে দেখানোর শখ হইছে।
মুখে কিছুই বললাম না,কিন্তু কিভাবে যেন আমার বরের কানে পৌছালো সেই কথা।
দেখ মুনা,ছোটবেলা থেকেই আমি এতিম। বড় হয়েছি মামা মামীর আশ্রয়ে।অনেক সংগ্রামের জীবন আমার। নিজেকে এতদুর আনতে জীবনে অনেক সংগ্রাম করেছি।
আমাদের বিয়েটা ও হলো হঠাৎ করে।ভেবেছিলাম আর কিছু টাকা পয়সা জমাতে পারলে তারপর বিয়েটা করবো।এদিকে মামা ও নাছোরবান্দা।তোমার বাবাকে কথা দিয়ে ফেলেছে।পছন্দের পাত্রীকেই বিয়ে করতে হবে।
ছোটবেলা থেকেই মামার কোলেপিঠে মানুষ।মুখের ওপর আর কিছু বলার সাহস হলো না।
কলেজ শিক্ষকের চাকুরীতে কতই বা বেতন বলো!
তবে এই পেশাটা সম্মানের।
অল্প কিছু সেভিংস,আর পরিচিত ব্যাংকার বন্ধুর মাধ্যমে লোন নিয়েই যতদুর সাধ্যে পারা যায়,নতুন বউয়ের শাড়ি,চুড়ি,গয়নাগাটি,কেনার চেষ্টা করেছি।
সব কিনে টিনে দেখি পকেট শুন্য।
মামার কাছে চাইবো সেই সুযোগ ও নেই।গলার চেইনটা কেনার মতো টাকা নেই পকেটে।তাছাড়া হাতে সময় ও নেই।
তোমার বাবাকেই সরাসরি ফোন দিয়ে জানালাম।উনি তৎক্ষনাৎ রাজি।
আমি অবাক হয়ে বললাম,আব্বা কি বললো?
বললো,বাবা চেইন তুমি বিয়ের পর ও কিনতে পারবা।আমাদের সমস্যা নেই।তবে মা বোধহয় একটু রাগারাগি করেছে।
তোমার বাবা অনেক উদার মনের মানুষ।
মুনা,তুমি চাইলেই কালই তোমাকে ধার দেনা করে একটা চেইন কিনে দিতে পারি।
তবে সেক্ষেত্রে সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যাবে।
দেখো তুমি এখন আমার স্ত্রী। তোমার কাছ লুকোচুরি কিছু নেই।
মামা মামীর সংসার চলে আমার টাকায়।তাছাড়া বিয়ের ঋণ এখনো শোধ করা বাকী।
তবে কথা দিচ্ছি সব দিক সামলে উঠলেই,আর কটা মাস পরে না হয় চেইনটা কিনব।
তুমি কি বলো?
আমার চোখে জল জমেছে।চেইন কিনতে না পারার দুঃখে নাকি স্বামীর ঋন শোধ সংগ্রামের গল্প শুনে! কি জানি!
টিকাটুলির এক চিপা গলিতে ছয়তলা বাড়ির চিলেকোঠায় দেড় কামড়ার ঘর।একটা বেডরুম,সাথে কমন স্পেস।বেডরুমেই পার্টিশন দিয়ে ছোট্ট একটা রান্নাঘর।
ভদ্রলোক পণ করেছেন বউয়ের বাড়ি থেকে কিছু নেয়া যাবে না।তাছাড়া ছোট্ট একরুমের বাসায় ফার্ণিচার রাখার জায়গাও নেই।
তবু বাবা জোড় করে মেয়েকে উপহার স্বরুপ একটা খাট,আর ড্রেসিং টেবিল এই দুটো জিনিস দিলেন।ভদ্রলোকের এতেই লজ্জায় প্রাণ যাবার যোগাড়।
পুরুষ মানুষ এমন ও হয় দেখে আমার বিস্ময়ের সীমা রইলোনা।
আমার স্বামী ভদ্রলোকের নাম জিতু। নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মাস্টার্স করে একটা সরকারি কলেজের বাংলার লেকচারার পোস্টে আছেন।বাসায় অর্ধেক জায়গা জুড়ে উনার বাংলা সাহিত্যের বই।
এই মানুষটি আমার মতো মেট্টিক পাশ মেয়েকে কি স্বাদে বিয়ে করলো বুঝলাম না।
অবশ্য উনি জানেন,আমি সদ্য ইন্টার পাশ করে বসে আছি।
বিয়ের প্রথম থেকেই এই একটা মিথ্যে মনটাকে ভারী করে রেখেছিলো।কতবার বলতে গিয়েও বলতে পারি নি।
জিতু সাহেব কথা বলেন কম।শান্ত শিষ্ট একজন মানুষ।
নির্ভেজাল থাকতে পছন্দ করেন।তবে খাবার টেবিলে,খাবারের প্রশংসা করতে ভুলেন না।
কথায় কথায় ধন্যবাদ দেয়া উনার মুদ্রা দোষ।
আর রোজ রাতে প্রিয়তমা স্ত্রীকে একটি করে স্বরচিত কবিতা শুনানোর চেষ্টা করেন।
বেরসিক প্রিয়তমা হাই তুলতে তুলতে কবি সাহেবের মুখের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে চেয়ে থাকেন।
যাহোক,বিয়ের দু মাসের মাথায়,একদিন খাবার টেবিলে,হঠাৎ করেই জানতে চাইলো, আচ্ছা এইচ এস সি তো দিলে।
এবার তো অনার্স টা কমপ্লিট করতেই হয়।কোন সাব্জেক্টে পড়তে চাও।ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা??
আমি মাথা নিচু করে চুপ করে আছি দেখে, এবার উনি আমার হাতটা ধরলেন,কি ব্যাপার!
সারাজীবন এই দুটো হাত দিয়ে কি শুধু রান্নাবান্নায় করতে চাও।নাকি এই হাতের জাদুতে চারপাশটা ও বদলাতে চাও ।
এই সময়টার মুখোমুখি একদিন হতে হবে জানতাম।
আমি মাথা নিচু করে জানালাম,আমি এইচ এস সি ফেইল।
উনি মনে হলো সবচেয়ে বড় শকটা খেলেন।মুখে রাজ্যের অন্ধকার।
মামা তো এই ব্যাপারে কিছু বলে নি।
কয়টা সাবজেক্টে ফেল করলে?
জানালাম ইংরেজি ,আর হিসাববিজ্ঞান।
এরপর আর একটা কথাও উনি বললেন না।
সেই রাতটা ভিজলো চোখের জলে।
আমি ধরেই নিলাম,এই বিয়েটা টিকবে না।
মনে মনে নিজেকে ধীক্কার দিতে লাগলাম,কেন কথাটা বিয়ের আগে জানালাম না।
নিজেকে ধোঁকাবাজ মনে হতে লাগলো।
পরদিন সকালে উঠেই উনি বেরিয়ে গেলেন।
এদিকে বাবা মাকে ফোন করে আমি কেঁদে কেটে অস্থির। কেন একটা মিথ্যে দিয়ে সম্পর্কের শুরু হলো।
সারা সকাল,দুপুর সন্ধ্যা পেরিয়ে উনি ফিরলেন রাত দশটায়।
হাতে একটা শপিং ব্যাগ।
বাসায় ফিরে ও কোন কথা নেই।মানুষটাকে কবে এতো ভালোবেসে ফেলেছি জানি না।তার অবহেলা বুকটাকে ঝাঝড়া করে দিচ্ছিলো।
সেই ভীরু ভীরু মন নিয়ে তার জন্য চা বানিয়ে সামনে রাখলাম।
এবার উনি আমার হাত ধরে পাশে বসালেন।
মুহুর্তেই ঝরঝর করে তার বুকে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে লাগলাম।আর বলতে লাগলাম,আমাকে তুমি ক্ষমা করো।যা শাস্তি দিবে দাও।শুধু তোমাকে ছেড়ে যেতে বলোনা।
ধুর পাগলী।
আমার চোখের দিকে তাকাও।
কি মনে করে আমার ফোলা দুটি চোখে আলতো করে চুমু খেলেন।
এবং হাতে তুলে দিলেন দুটি বই।
এই দুটো বিষয়ে ফেল করেছ তো!
সামনের বার আবার পরীক্ষা দেবে।এবার কিন্তু এ প্লাস চাই।
ঠিক আছে?!
কাল থেকে পড়াশোনা শুরু। ঠিক আছে?।হাতে কিন্তু সময় বেশি নেই।আর ছ মাস পর পরীক্ষা।
আমি তো মনে মনে এবার দোয়া দরুদ পড়া শুরু করলাম।এই দুই জালিমের হাত থেকে এবার রক্ষা পাবো তো।
পরদিন ভোরবেলাতেই আমার স্যারের ডাকাডাকি।
এই যে ফেল্টু ম্যাডাম উঠে পড়েন।
সকালের নাস্তা রেডি।
আড়মোড়া ভেঙ্গে মানুষটার দিকে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছি।ইচ্ছে করছে নিজ থেকেই একবার জড়িয়ে ধরি।
আজ থেকে আমিই আপনার শিক্ষক।
যদিও বাংলার শিক্ষক, ইংরেজি,অংক চালিয়ে নেয়া যাবে।
কি ব্যাপার টিচার পছন্দ হয়নি?
আমি বললাম,অন্য কোন অপশন তো নেই।
এই মানুষটার জন্যই আমাকে পারতে হবে।
ফেল্টুশ ছাত্রীর তকমা নিয়ে সংসার করতে আসা আমি আবার পুরোদস্তুর ছাত্রী বনে গেলাম।
ব্যাস টানা ছমাস মনোযোগী ছাত্রী এবার দুটো বিষয়েই আশাতীত ফল পেলো।
আম্মাকে ফোনে জানালাম, আম্মা মহাখুশী।সাথে আবার মনে করিয়ে দিলেন,পাশ করার খুশিতে এবার যেনো চেইন বানানোর আবদারটা করে বসি।
আম্মা এখনো চেইন নিয়ে পড়ে আছেন।
আমি আম্মার কথায় মুচকি হাসি।আমি যে এখানে সোনার খনির সন্ধান পেলাম।আর আম্মা আছেন এক সোনার চেইন নিয়ে।
পড়াশোনার ধারে কাছে ও যাবো না বলা এই আমাকে পড়াশোনার নেশা পেয়ে বসলো।ইংরেজিতে ফেল করা আমি অনার্স-মাস্টার্স করে বসলাম ইংরেজী সাহিত্যেই। সাথে নতুন নতুন স্বপ্ন বুনতে লাগলাম।বিসিএস ক্যাডার হবার স্বপ্ন টাও খুব করে পেয়ে বসলো।
আর একটা একটা করে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলাম।স্বপ্নের বীজ বুনে দেয়া মানুষটা বরাবরই ছিলো ভরসা হয়ে।
পঁাচ বছর পর কাঙ্ক্ষিত সেই দিন।আমার বদলে যাওয়া জীবনের পরম পাওয়া একটি দিন।
বি সি এস পুলিশ ক্যডারের চাকরীটা হয়ে গেলো।সগৌরবে জামাইকে নিয়ে হাজির হলাম বাবার বাড়ি।
মানুষটার চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক।মা ও এতদিনে মেয়ে জামাইকে চিনে গেছেন।জিতু ইতোমধ্যেই আম্মার পছন্দের জামাই।মা বাবার আদরের ছেলে।
পুলিশের ইউনিফর্ম পড়েই সেদিন বাবা মায়ের দোয়া নিতে গিয়েছিলাম।পুড়ো পাড়ায় ইতোমধ্যে
রটে গেছে আমার বিসিএস ক্যাডার হবার খবর।নামের সাথে জুড়েছে এসপি পদের সম্মান।
এইবার কিনতু হাতে আংটি ছাড়া আর কোন গয়না নেই।তা পড়ার প্রয়োজন ও নেই।পাড়া প্রতিবেশীরা এবার ও দেখতে এলেন।গয়নাগাটি,শাড়ির ওজন এবার আর কিছুই যায় আসলো না। সবার চোখে অপার মুগ্ধতা।
সবার চোখ আমার পুলিশি পোশাকে। সেখানে জ্বলজ্বল করছে একটি নাম।মুনা রহমান।
চোখটা কবেই মনের অজান্তে ঝাপসা হয়ে গেলো।সমাজকে ডেকে বলতে চাওয়া কথাগুলো আপাতত মনে মনেই ভাবলাম,
একটি সোনার চেইন,কিবা যে কোন অলংকার বাহ্যিক সুখটাকে প্রকাশ করে মাত্র,ভরি ভরি গয়নাগাটি কখনো সুখ মাপার মাপকাঠি হতে পারে না। সুতরাং দেহ সাজাতে নয় কেবল যে সঙ্গী সুন্দর জীবন সাজাতে পাশে থাকে,সঙ্গীনীর আত্মমর্যাদাকে গুরুত্ব দেয় সেই তো আসল জীবনসঙ্গী।
লিখা: হুমাইরা