প্রতিষ্ঠানের নামের মেসার্স অর্থ কী এবং কেন
মেসার্স ইংরেজি শব্দ। এটি মিস্টার শব্দের বহুবচন। প্রায়োগিক ক্ষেত্রে মেসার্স মানে একাধিক মিস্টার অথবা একাধিক মিসেস; একাধিক মিস্টার ও মিসেস। এককথায় একাধিক ব্যক্তিকে একসঙ্গে মেসার্স বলা হয়। যেমন: সর্বজনাব।
বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মূল নামের আগে মেসার্স' (MESSRS), দেখা যায়। যেমন: মেসার্স করিম অ্যন্ড কোং, মেসাস তৈয়ব আলী ব্রাদার্স, মেসার্স হরিপদ ট্রেডার্স।
একাধিক মিস্টার-মিসেসকে একসঙ্গে মেসার্স বলা হয়। তাই, যেসব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নাম কোনো ব্যক্তির নামে চয়িত হলেও ওই ব্যক্তির সঙ্গে আরও এক বা একাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা প্রকাশ করা আবশ্যক হয়— সেক্ষেত্রে মূল ব্যক্তি-সহ সবাইকে একত্রে দ্যোতিত করার জন্য প্রতিষ্ঠানের নামের আগে মেসার্স লেখা হয়। এমন হলে মেসার্স লেখা শুদ্ধ। যেমন: মেসার্স বদি কনস্ট্রাকশন (এটি একাধিক ব্যক্তির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত)।
কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পুরুষ ছাড়া মহিলা জড়িত থাকলে সেক্ষেত্রেও মেসার্স লেখা হয় এবং তা অশুদ্ধ নয়। কারণ মেসার্স শব্দের অর্থ মিস্টার মিসেসবৃন্দ। যেমন: কার্তিকচন্দ্র দাস তার দুই ভাই, দুই ছেলে ও তিন মেয়ের সংশ্লিষ্টতায় সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছেন: মেসার্স কার্তিক অ্যান্ড ব্রাদার্স।
তবে আমাদের দেশে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের নাম এই সূত্রে মেসার্স রাখা হয় না। অনেকে অন্যের অনুকরণে কোনো বিবেচনা ছাড়া অপ্রয়োজনীয়ভাবে মেসার্স লাগিয়ে দেন।
ব্যক্তি (মানুষ) ছাড়া অন্য কারো নামের আগে মিস্টার বা মেসার্স লেখা হয় না। তাই যেসব প্রতিষ্ঠান কোনো ব্যক্তি নামে রাখা হয় না সেসব প্রতিষ্ঠানের নামের আগে মেসার্স লেখা শুধু ভুল নয়, হাস্যকর। অদ্বিতীয় বিষয়ের ক্ষেত্রেও মেসার্স লেখা দেখা যায়। যেমন: মেসার্স কুমিল্লা হোসিয়ারি, মেসার্স তাজমহল; মেসার্স পদ্মা কনসালট্যান্ট, মেসার্স বাংলাদেশ বাণিজ্য গোষ্ঠী প্রভৃতি। যে প্রতিষ্ঠান কোনো মানুষের নামে নয় সে প্রতিষ্ঠানের নামের আগে মেসার্স লেখা সমীচীন নয়।