স্মরণীয় রাত
স্বামী-স্ত্রীর স্মরণীয় রাত জীবনে একবার হয়।কিন্তু আমার জিবনে আরেকটা স্মরণীয় রাত এসেছে।আর সেই রাত থেকে বাকী সবগুলো রাত আমার জন্য স্মরণীয় রাত হয়ে গেলো।আমি বিয়ে করেছি মাত্র দুইদিন।আমার স্ত্রী তেমন ফর্সা না।শ্যামলা, তবে আমার কাছে আমার স্ত্রীকে দেখলে খুব মায়া লাগে।সেই যখন ঘুমায় আমি তখন ইচ্ছা করে রাত জেগে তাকে দেখিয়।আমার চোখে চোখ পড়লে আমার স্ত্রী লজ্জা পায়।তাই আমি লুকিয়ে লুকিয়ে দেখি।
রাতে খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে গেছে।আমার স্ত্রী ইফতি আক্তার (জান্নাত) সেই ঘুমাচ্ছে।ইফতি ঘুমানো অবস্থা আরো সুন্দর লাগে।এইদিকে আমার স্ত্রী লজ্জাবতী চোখে চোখ পড়লে লজ্জা করে তাই আমি রাত জেগে ইফতিকে দেখতেছি।দেখতে দেখতে কখন জানি ঘুম চলে আসছে আমার।
রাত তখন ৩টা বাজে।ইফতি অামাকে বলে-
- এইয় শুনছেন উঠুন না।
- কেন!এতরাতে উঠে কি করবো?
- নামাজ পড়তে।
- মাত্র ৩টা বাজে এখন কিসের নামাজ। ফজরের আজান দিতে আরো দেরি আছে এখন ঘুমাও তো।
- সেটা আমি জানি,তবে এখন তাহাজ্জুদের নামাজ পড়বো।তাড়াতাড়ি উঠেন।
- তুমি পড়ো, আমি কালকে পরবো।
- কালকে যদি আমি মারা যাই তাহলে কি করবেন।
এই কথা শুনে অামার কেমন জানি খারাপ লাগছে কেন তা জানি না।কিছুক্ষণ নিরব থেকে আমি ইফতিকে বলি-
- চলো ওযু করে আসি।আর হ্যাঁ আমি তোমার সাথে সবসময় তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করবো।তারপরেও এই কথা আর বলবা না কখনো।
নামাজ শেষ করে আমি আবার ঘুমাইতে চলে অাসছি।আমি এমনিতে সারারাত ঘুমাইয় নাই।এইদিকে ইফতি বলে- ছাদে যাবে।বৌ আবদার করছে না গেলেও রাগ করবে।তাই ছাদে যাই।ছাদে যখন যাই ইশরে কি সুন্দর একটা মুহূর্ত।চাঁদের আলোতে ইফতিকে আরো অপূর্ব লাগতেছে।কিছুক্ষণ থাকার পরে বলি-
"চলো রুমে চলে যাবো।
ইফতি অামাকে বলে-
- আসুন তারা গুণবো।
এইদিকে আমার বারোটা বাজতেছে ঘুমের।কিছু করার নাই কিছুক্ষণ বসে বসে ইফতি অার আমি তারা গণনা করছি।কিন্তু শেষ করতে পারি নাই।এই তারা গণনা করে শেষ করা যাবে না।কিছুক্ষণ পরে ফজরের আজান দিয়ে দিলো।ইফতি অামাকে বলে-
- চলুন ফজরের নামাজ পড়বো।
- আচ্ছা।
-আপনি মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ে আসেন।
-ঘরে পড়ে নিবো।আজকে মসজিদে যাবো না কালকে যাবো।
-যদি আমি কালকে মারা যাইয়।তাহলে তো দেখবো না আপনি কিভাবে মসজিদে যাচ্ছেন।আপনি আসার অপেক্ষা আমি জানালা দিয়ে তাকিয় থাকবো।সেটা কিভাবে দেখবো যদি কালকের দিনটুকু না পাই।
-আচ্ছা ঠিক আছে যাচ্ছি। তুমি তারপরেও মরে যাওয়ার কথাটা বইলো না।
-ঠিক আছে আর বলবো না
(কাল্পনিক লিখা তবে জীবনটা এমন হয় কেমন সুখী হবেন একটু চিন্তা করেন!)
লেখাঃ- মো:ইমরান হোসাইন
রাতে খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে গেছে।আমার স্ত্রী ইফতি আক্তার (জান্নাত) সেই ঘুমাচ্ছে।ইফতি ঘুমানো অবস্থা আরো সুন্দর লাগে।এইদিকে আমার স্ত্রী লজ্জাবতী চোখে চোখ পড়লে লজ্জা করে তাই আমি রাত জেগে ইফতিকে দেখতেছি।দেখতে দেখতে কখন জানি ঘুম চলে আসছে আমার।
রাত তখন ৩টা বাজে।ইফতি অামাকে বলে-
- এইয় শুনছেন উঠুন না।
- কেন!এতরাতে উঠে কি করবো?
- নামাজ পড়তে।
- মাত্র ৩টা বাজে এখন কিসের নামাজ। ফজরের আজান দিতে আরো দেরি আছে এখন ঘুমাও তো।
- সেটা আমি জানি,তবে এখন তাহাজ্জুদের নামাজ পড়বো।তাড়াতাড়ি উঠেন।
- তুমি পড়ো, আমি কালকে পরবো।
- কালকে যদি আমি মারা যাই তাহলে কি করবেন।
এই কথা শুনে অামার কেমন জানি খারাপ লাগছে কেন তা জানি না।কিছুক্ষণ নিরব থেকে আমি ইফতিকে বলি-
- চলো ওযু করে আসি।আর হ্যাঁ আমি তোমার সাথে সবসময় তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করবো।তারপরেও এই কথা আর বলবা না কখনো।
নামাজ শেষ করে আমি আবার ঘুমাইতে চলে অাসছি।আমি এমনিতে সারারাত ঘুমাইয় নাই।এইদিকে ইফতি বলে- ছাদে যাবে।বৌ আবদার করছে না গেলেও রাগ করবে।তাই ছাদে যাই।ছাদে যখন যাই ইশরে কি সুন্দর একটা মুহূর্ত।চাঁদের আলোতে ইফতিকে আরো অপূর্ব লাগতেছে।কিছুক্ষণ থাকার পরে বলি-
"চলো রুমে চলে যাবো।
ইফতি অামাকে বলে-
- আসুন তারা গুণবো।
এইদিকে আমার বারোটা বাজতেছে ঘুমের।কিছু করার নাই কিছুক্ষণ বসে বসে ইফতি অার আমি তারা গণনা করছি।কিন্তু শেষ করতে পারি নাই।এই তারা গণনা করে শেষ করা যাবে না।কিছুক্ষণ পরে ফজরের আজান দিয়ে দিলো।ইফতি অামাকে বলে-
- চলুন ফজরের নামাজ পড়বো।
- আচ্ছা।
-আপনি মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ে আসেন।
-ঘরে পড়ে নিবো।আজকে মসজিদে যাবো না কালকে যাবো।
-যদি আমি কালকে মারা যাইয়।তাহলে তো দেখবো না আপনি কিভাবে মসজিদে যাচ্ছেন।আপনি আসার অপেক্ষা আমি জানালা দিয়ে তাকিয় থাকবো।সেটা কিভাবে দেখবো যদি কালকের দিনটুকু না পাই।
-আচ্ছা ঠিক আছে যাচ্ছি। তুমি তারপরেও মরে যাওয়ার কথাটা বইলো না।
-ঠিক আছে আর বলবো না
(কাল্পনিক লিখা তবে জীবনটা এমন হয় কেমন সুখী হবেন একটু চিন্তা করেন!)
লেখাঃ- মো:ইমরান হোসাইন
₪ [ post no: 52 ]