Posts

Showing posts from July, 2020

পরিণয়

সিংকের উপর ঝুকে আলিসা দুপুরের এঁটো বাসনগুলো মাজছিলো ।আবির সোফায় বসে টিভি দেখতে দেখতে আলিসাকে উদ্দেশ্য করে বলল, তোমার রূপ-গুণ কিছুই আমাকে আর টানেনা কেন আলিসা?শুধু রূপ-গুণের কথা বলছি কেন অভ্যাসগত কারণেও তোমার শরীরটাও আমাকে আর টানেনা। বিরক্ত লাগে অনেক। আলিসা পানির কল ছেড়ে দিয়ে এঁটো থালাগুলো চুপচাপ ধুয়ে যাচ্ছিল।আবিরের কথাগুলো তার কাছে আকস্মিক নয় তাই সে হতবাকও নয়,আবার এই কথাগুলো নতুনই নয়।তাই সে নীরবে ঝড়ঝাপটা বুকে টেনে নিয়ে এঁটো থালাগুলো মেজেই চলছে।আলিসার ঠোঁট জোড়া চুপ থাকলেও চোখজোড়া সরব।চোখের জল গড়িয়ে কলের জলের সাথে মিশে তলিয়ে যাচ্ছে নিচের দিকে। ঝাপসা চোখে আলিসার চোখে অতীতের স্মৃতি ভেসে ওঠে।আবির তখন ইউনিভার্সিটির ফোর্থ ইয়ারের ছাত্র। আলিসা সদ্য জুনিয়র।ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে আলগোছে সুন্দরী মেয়েটাও আলিসা।অনেকে প্রপোজ করে কিন্তু আলিসা পাত্তা দেই না।আলিসা আবিরকেউ সেভাবে রিজেক্ট করে দিয়েছিলো।কিন্তু আবির তার পিছু ছাড়েনি।ঘুরঘুর করতে করতে একসময় ওকে পাগল করে তুলেছিল প্রেমটা করার জন্য। তারপর দুজন একমাস প্রেম করেছিলো।একদিন আবিরের নাকের গরম নিশ্বাস আলিসার কানে উষ্ণতা ছড়াতে সে বলেছিল,এতো তাড়া কিসের?যা হবে

আমারী গল্প।

সাল ২০১৫, তখন একটি মেয়ে আমার জীবনে দেখা দিল। আমি তখন ক্লাস নাইন পড়ি,আর মেয়েটা ক্লাস সেভেন। কখনো ভাবি নাই যে,আমি প্রেমে পড়বো। তাকে প্রতিদিন লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতাম। দু জনাই একি স্কুলে পড়তাম। প্রতিদিন কোচিং আর স্কুলের  সামনে দেখা হতো, তাকে বুঝতে দিতাম না,যে আমি তাকে ফলো করি। আর এভাবে দেখতে দেখতে কয়েক মাস কাটিয়ে দিলাম। কিন্তু আর অপেক্ষা করতে পারছি না। তাকে বলতে হবে যে আমি তাকে অনেক পছন্দ করি। কোন উপায় মাথায় আসছে না, ঠিক করলাম স্কুল ছুটির পর ও যে রাস্তায় দিয়ে যায়, সেখানে দাঁড়িয়ে থাকবো। কয়েকদিন দাঁড়িয়ে থাকার পর সে বুঝতে পারলো যে আমি তাকে পছন্দ করি। একদিন ওর পিছু নিলাম। অবশ্য সেদিন একটু বৃষ্টি হতে ছিল। সে একটু করে যাচ্ছে আর পিছন ফিরে তাকিয়ে একটা হাসি দিচ্ছে। তারপর থেকে আমাকে দেখলে পেছন ফিরে এমন একটা হাসি দেয়, তখন মনে হয় আমি আর পৃথিবীতে নেই। পাগল হয়ে যেতাম তার হাসি দেখে। শুরু হলো তাকে নিয়ে স্বপ্ন বুনা। মেয়েটাও একটু একটু করে ঘুমের মধ্যে আমাকে নিয়ে ভাবতে শুরু করলো, সে ঘুমানোর সময় আমাকে নিয়ে ভাবা আর তার একটু একটু করে হেসে ওঠার কারনটাও আমি হয়ে গেলাম। এরপর থেকে যেখানে দেখা হয় সে আমার দিকে পিছন ফিরে ত

রিভার্স সাইকোলজি

১৮+ গল্প। বাচ্চারা দূরে থাকুন। ১৮ বছরের নিচে কেউ পড়বেন না প্লিজ। কি ব্যাপার? মানা করলাম না? তারপরও পড়তে আসছেন? আবারও বলছি, বাচ্চারা দূরে থাকুন। উপরের কথাগুলো কেন বললাম তার উত্তর আমি দিব না। গল্পের শেষে নিজেরাই উত্তর দিবেন। তার আগে আসুন কিছু জিনিস আপনাদের মনে করিয়ে দেই। ১.দেওয়ালে পোস্টার লাগানো নিষেধ।  ২.এখানে প্রস্রাব করিবেন না। প্রস্রাব করলে জরিমানা দিতে হবে।  ৩.এখানে বাস থামাবেন না। ৪.ফুল ছিঁড়বেন না। ৫.WWE খেলা দেখানোর সময় বলে দেয় Dont try this at home ৬.বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ। এইযে উপরে ছয়টা নিষিদ্ধ কাজের কথা বললাম এটা কিন্তু আমরা সবাই জানি, দেখেছি। খেয়াল করে দেখবেন, এই কাজগুলোই করতে আপনার বেশি ইচ্ছে হয়। অনেক সময় করেও ফেলেন। আর আত্নতৃপ্তি পান। আমার মনে আছে, কেমিস্ট্রি প্রাইভেট পড়ে ম্যামের বাসা থেকে বের হতেই দেখতাম একটা বাসার সামনেই ফুলের বাগান। আর সেখানে লিখা আছে, ফুল ছিঁড়া নিষেধ। ধরতে পারলে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। আমি প্রায় প্রতিদিন ই সেই বাগান থেকে ফুল ছিঁড়ে দৌড় দিতাম। আশেপাশের আরও অনেক বাসায় ফুলের বাগান ছিলো। সেখানে "নিষেধ, জরিমানা" এমন কিছু লিখা ছিলো না। আমার সেস

প্রতিষ্ঠানের নামের মেসার্স অর্থ কী এবং কেন

মেসার্স ইংরেজি শব্দ। এটি মিস্টার শব্দের বহুবচন। প্রায়োগিক ক্ষেত্রে মেসার্স মানে একাধিক মিস্টার অথবা একাধিক মিসেস; একাধিক মিস্টার ও মিসেস। এককথায় একাধিক ব্যক্তিকে একসঙ্গে মেসার্স বলা হয়। যেমন: সর্বজনাব। বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মূল নামের আগে মেসার্স' (MESSRS), দেখা যায়। যেমন: মেসার্স করিম অ্যন্ড কোং, মেসাস তৈয়ব আলী ব্রাদার্স, মেসার্স হরিপদ ট্রেডার্স। একাধিক মিস্টার-মিসেসকে একসঙ্গে মেসার্স বলা হয়। তাই, যেসব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নাম কোনো ব্যক্তির নামে চয়িত হলেও ওই ব্যক্তির সঙ্গে আরও এক বা একাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা প্রকাশ করা আবশ্যক হয়— সেক্ষেত্রে মূল ব্যক্তি-সহ সবাইকে একত্রে দ্যোতিত করার জন্য প্রতিষ্ঠানের নামের আগে মেসার্স লেখা হয়। এমন হলে মেসার্স লেখা শুদ্ধ। যেমন: মেসার্স বদি কনস্ট্রাকশন (এটি একাধিক ব্যক্তির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত)। কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পুরুষ ছাড়া মহিলা জড়িত থাকলে সেক্ষেত্রেও মেসার্স লেখা হয় এবং তা অশুদ্ধ নয়। কারণ মেসার্স শব্দের অর্থ মিস্টার মিসেসবৃন্দ। যেমন: কার্তিকচন্দ্র দাস তার দুই ভাই, দুই ছেলে ও তিন মেয়ের সংশ্লিষ্টতায় সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়েছেন: মেস