বিষন্ন শ্রাবণ
এইমাত্র আমি পাঁচশো টাকার তিনটা নোট ড্রেসিং টেবিলের উপর রেখে কিচেনে গেলাম, এখন দেখি টাকাটা নেই । নাইম,টাকাটা কি তুমি নিয়েছো? ভাবির এই কথা শুনে আমার পিত্তি জ্বলে উঠলো । শেষপর্যন্ত চোর বানিয়ে দিলো আমাকে? ছিঃ!অবশ্য বেকারদেরকে মানুষের অনেক কথা শুনেই বেমালুম হজম করতে হয় । কথায় কথায় পিত্তি জ্বলে উঠলে চলে না। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম;না ভাবি, আমি নেইনি । হয়তো অন্য কোথাও রেখেছো, ভালো করে খুঁজে দেখো। ভাবি বললো, সব জায়গায় খুঁজেছি।কোথাও নেই। তুমি একটু মনে করে দেখো। এমনো তো হতে পারে, তুমি মনের ভুলে নিয়ে মানিব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলেছো, এখন মনে করতে পারছো না। এবার সত্যি সত্যি মাথায় আগুন চড়ে গেলো । আমি খুব হাল্কা স্বরে বললাম;ভাবি, তুমি যেভাবে আমাকে অপমান করছো, এরমধ্যে যে চূড়ান্ত রকমের একটা ছোটলোকি আছে, তুমি কি তা বুঝতে পারছো? এই কথায় ভাবি শ্রাব্য অশ্রাব্য ভাষায় যা বলা শুরু করলো, তাতে তাকে আর একটা ভদ্র বাড়ির ছেলেবৌ কিংবা কোনো ভালো ঘরের মেয়ে বলা যায় না। একপর্যায়ে সে বলেই ফেললো, ঢামড়া একটা ছেলে বছরের পর বছর ভাইয়ের ঘাড়ে বসে বসে হাতির মতো গিলছে, চার পয়সা ইনকামের মুরোদ নেই, সে কী না আমাকে বলে ছোটলোক! আ