Posts

Showing posts from March, 2020

₪ শেষ আবদার [Post no :- 30]

কলিংবেল এর শব্দে দরজা খুলে যাকে দেখলাম তাকে এভাবে দেখার জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলাম না।আমি চোখে ভুল দেখছি না তো?না সত্যিই আমার সামনে এখন ফলমূল আর মিষ্টি হাতে মেঘলা দাড়িয়ে আছে।হ্যা, এটা সেই মেঘলা যার সাথে শেষ দেখা হয়েছিল ৪ বছর আগে। "আমাকে কি ভেতরে যেতে বলবে না?" মেঘলার কথায় আমার ভাবনাতে ছেদ পড়ল।ওকে সোফায় বসতে দিয়ে আমিও মুখোমুখি হয়ে বসলাম।মেয়েটা এখনো মাথা নিচু করে আছে।কি জানি,এখনো হয়ত অপরাধবোধ কাজ করছে ওর মাঝে। ঠিক ৪ বছর আগে এই মেয়েটাকে নিয়েই আমি হাজারো স্বপ্ন দেখতাম।অনেকটা সময় একসাথে কাটিয়েছি এই মেঘলার সাথে।কেন জানি ওর সবকিছুতেই আমি ভালোবাসা খুজতাম-ওর রাগ,অভিমানটাও আমি ভালোবাসা হিসেবেই নিতাম।ওর কথাবার্তা,আচার ব্যবহারে মনে হত সে আমায় অনেক ভালোবাসতো।আমি বেকার ছিলাম বলে মাঝ পথে আমার হাত ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছিল।আজ সেই মেঘলা আমার সামনে বসা কিন্তু এই মেঘলাকে নিয়ে আমার আর স্বপ্ন দেখার অধিকার নেই।২ বছর আগে শুনেছিলাম ওর বিয়ে হয়ে গেছে। "কেমন আছো, নীরব?" মেঘলার কথায় একটু লজ্জিত হলাম-অনেক্ষণ হলো ওকে বসিয়ে রেখেছি একটা কথাও বলা হয়নি। "এই তো আছি ভালোই।তুমি কেমন আছো?" ম

₪ সেই মেয়েটি [post no: 29]

ভাইবা বোর্ডে যে সুন্দরী স্মার্ট মেয়েটি আমাকে একের পর এক প্রশ্ন বিদ্যুৎ গতিতে করেই যাচ্ছে, সে আর কেও নয় আমারই প্রাক্তন প্রেমিকা! তারই কোম্পানি তে জব এর জন্য এসেছি। যদিও না জেনে এসেছি, কিন্তু চাকরী টা আমার ভীষণ প্রয়োজন। ৩ বছর ধরে বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছি কিন্তু কিছুতেই কোনো চাকরীর ব্যবস্থা করতে পারছিনা। এদিকে ঘরে অসুস্থ মা, প্রেগনেন্ট বউ, মাথায় পাহাড় সমান ঋণের বোঝা। ভেবেছিলাম এইবার হয়তো চাকরীটা আমার হয়েই যাবে, কিন্তু ভিতরে গিয়ে তানিয়াকে দেখে গলা শুকিয়ে গেলো। কারণ ও আমাকে কখনোই জবটা দিবে না, অবশ্য ওর জায়গায় আমি হলেও সেম কাজ করতাম। ভাইবা শেষে বের হয়ে হেটে বাসায় ফিরছি । আর ভাবছি বিধাতার লীলা খেলা বুঝা সত্যিই দায়। তানিয়া আর আমি একই ভার্সিটিতে একই ইয়ারে ভিন্ন ডিপার্টমেন্ট পড়তাম। কিভাবে কখন তার সাথে রিলেশনের শুরু হয়েছিলো মনে নেই। গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল সেই তানিয়া খালার বাসায় থেকে পড়তো, টিউশনি করে খরচ জোগাড় করতো। তার সাথে আমার সম্পর্ক ছিলো ৩ বছর। আমি তার কাছ থেকে হাত খরচ নিতাম। নিজের সব কাজ তাকে দিয়ে করিয়ে নিতাম। বন্ধু মহলে কখনই তাকে পরিচয় করিয়ে দিতাম না , কারন সে আনস্

₪ পৃথিবীর সবচেয়ে কুখ্যাত মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা (স্ট্যানফোর্ড প্রিজন এক্সপেরিমেন্ট) [post no: 28]

সালটা ১৯৭১ সাল । বাংলাদেশে তখন মুক্তিযুদ্ধ চলছে । পৃথিবীর প্রচুর আকাম নাকি জুলাই মাসে সংঘটিত হয়েছে । আমার জন্মও হয়েছে জুলাই মাসে । এই পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আলোচিত, সমালোচিত সাইকোলজিক্যাল এক্সপেরিম্যান্টটাও কিন্তু জুলাই মাসে সংঘটিত হয়েছে । আমরা সবাই জানি, স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি পৃথিবীর দশটি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি । প্রফেসর ফিলিপ জিম্বারডো এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের একজন অধ্যাপক । আর স্ট্যানফোর্ড প্রিজন এক্সপেরিমেন্ট প্রফেসর ফিলিপ জিম্বারডোর করা একটি সাইকোলজিক্যাল এক্সপেরিম্যান্ট । কথা ছিলো এক্সপেরিম্যান্টটা চলবে ১৫ দিন । এখানে বেশ কিছু ভল্যান্টিয়ার লাগবে । তাই তিনি স্থানীয় একটি মিডিয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি রিক্রুটমেন্ট অ্যাড দিলেন । বলা হলো প্রত্যেককে প্রতিদিন ১৫ ডলার করে দেওয়া হবে । ১৯৭১ সালে কিন্তু দিনে ১৫ ডলার অনেক টাকা। তখন গ্রাজুয়েশন করছিলো, কিংবা হন্যে হয়ে চাকুরী খুজছিলো এরকম অনেকেই চাকুরীর জন্য অ্যাপ্লাই করলো । সবাইকে একটি সাইকোলজিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে সিলেক্ট করা হলো । বেশ অনেকজনকে ওয়েটিং লিস্টে রাখা হলো । প্রফেসর ফিলিপ