Posts

Showing posts from April, 2019

₪ অতিথি ও আমি [post no:-24]

Image
চিপস খাচ্ছি আর টম এন্ড জেরি দেখছি আর একটু পর পর হেসে লুটোপুটি খাচ্ছি ৷ আমার পাশে বসে আম্মু কি যেন করছে আর আমার কান্ডকীর্তি আড়চোখে দেখে বিরক্ত হচ্ছে ৷ মাত্র টম জেরিকে ধরবে তো আমিও হাতটা বাড়িয়ে দিলাম জেরিকে বাঁচাতে ৷ অমনি উঠলো কলিংবেলটা বেজে৷ বাজাচ্ছে তো বাজাচ্ছেই থামার নাম গন্ধ নেই !!মেজাজ আমার চরম পর্যায়ে৷ আমার জেরিকে বাঁচাতে পারলাম না দুষ্টু টমের হাত থেকে !!আম্মু বললো "অরু দেখ গিয়ে কে আসছে!" অনেকটা বিরক্তি নিয়ে দরজাটা খুললাম ,একটা সুদর্শন ছেলে ফর্মাল ড্রেসআপে দাড়িয়ে,মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি ৷ ভাগ্যিস একটুর জন্য ক্রাশ খাইনি ৷ দেখে বেশ ভদ্র আর হাই ফেমিলির মনে হচ্ছে ৷ চোখে আবার সানগ্লাস ও আছে সাথে একটা ট্রলি ব্যাগ ৷ ওমনি আমার মাথায় আসলো শয়তানি বুদ্ধি ! একদৌড়ে রুমে গিয়ে ব্যাগ থেকে দুইটাকার একটা নোট এনে লোকটার হাতে দিয়ে বললাম "আমার কাছে এই দুইটাকা ছাড়া আর একটাকাও নেই ৷ পরের বার আসলে আরো বেশি দিবো কেমন?" ছেলেটা চশমা খুলে হা হয়ে তাকিয়ে আছে ৷তারপরই বলে উঠলো "মাথার তার কি একটা ছিড়া নাকি সবগুলোই ?"বলেই আমাকে একহাতে সরিয়ে টাকাটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে ভিতর

₪ ৪৯টি রোমান্টিক মুহূর্ত [post no:-23]

Image
১।  একসাথে সূর্যোদয় দেখা। ২।    ফিস ফিস করে কথা বলা। ৩।  একে অপরের জন্যে রান্না করা। ৪।  বৃষ্টির ভিতর একসাথে হাটা। ৫।  হাত ধরে হাটা। ৬।  একে অপরের জন্যে উপহার কেনা । ৭।  মাঝে মাঝে গোলাপ উপহার দেয়া। ৮ ।  পছন্দের কোন সেন্ট ব্যাবহার করা যখন ... তারা এক সাথে থাকে। ৯।  মাঝ রাতে সমুদ্র সৈকতে হাটা। ১০।  একে অপরের জন্যে কবিতা লেখা। ১১।  পাবলিক প্লেছ এ কানে কানে বলা আই লাভ ইউ। ১২।  বলুন তাকে ভালবাসেন যদিও সে বুঝুক আর না বুঝুক তবুও বলবেন । ১৩।  কাব্বিক/ফুল/চকলেট ইত্যাদি উপহার দেওয়া। ১৪।  তাকে বলুন, সেই আপনার জীবনের একমাত্র মেয়ে / ছেলে যাকে আপনি চান।মিথ্যা বলবেন না । ১৫।  যতটুকু সম্ভব একসাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করা। ১৬।   ২ জনের চোখে চোখ রাখা। ১৭।  তাকে জড়িয়ে ধরে রাখা। ১৮।  যখন কোথাও যাবেন তখন একে অন্যের সাথে মজা করা। ১৯ । বিভিন্ন ভালবাসার ছোট্ট ছোট্ট কথা কাগজে লিখে তাদের পকেটএ ভরে দিবেন যাতে সে না দেখে। ২০।  রিং কিনে দেওয়া। ২১।  এক সাথে গান গাওয়া। ২২।  সব সময় তাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া। ২৩।  রাতের

₪ সিনিয়র আপুর সাথে প্রেম [post no:-22]

   সিনিয়র আপুর সাথে প্রেম আমাদের এলাকার এক আপু আছে যে আমার প্রথম ক্রাশ। আমি যখন প্রথম বোঝতে পেরেছি ক্রাশ কি তখন থেকেই এই আপুর উপর আমি ক্রাশিত। আপুটার নাম পুতুল দেখতেও পুতুলের মতো লাগে। আমি তার সাথে কখনও তেমন ভাবো কোনো কথা বলিনি। রাস্তাঘাটে যখন আপুকে একা দেখি তখন একটা গান গাই, তোকে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে হৃদয়ের কোটরে রাখব... পুতুল আপু আমাকে কিছু বলতে চায় মনেহয় কিন্তু কেনো জানি বলে না। একদিন কলেজ থেকে আসার পথে এই গান গেয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসছিলাম হঠাৎ একজায়গায় আপু দাড়ালো। আমি তাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে দূরে দাড়িয়ে থাকলাম। পেছন ফিরে আমাকে ডাক দিয়ে বললোঃ -এই এদিকে আয় আমি তার ডাক শোনে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলাম। তারপরও তার কাছে গেলাম... -এই তুই আমাকে দেখে এই গান গাছ ক্যান? -তোমাকে দেখে গান গাই মানে? আমি তো সব সময় এই গান গাই -আমার সামনে এই গান আর গাইবিনা -কেনো? -গাইবিনা ব্যাস। -আমি যখন এই গান গাবো তখন তুমি আমার সামনে না আসলেই তো হয়। নিজেকে শাসন না করে আমাকে করছো? -ভারি দুষ্টু হয়েছিস না -দুষ্টু হবো ক্যান! জানো আমি যাকে বউ বানাবো তাকে আমি পুতুলের মতো করে রাখব। -রাখিস রাখিস, এবার আমার সাম

₪ অতীত [post no:-21]

 সাল ২০৮০ বিছানায় শুয়ে শুয়ে বোরিং হয়ে গেছি। বেড বক্সের উপর থেকে চশমাটা হাতরে নিলাম আর খাটের পাশ থেকে লাঠিটা নিয়ে নাতনীর ঘরে গেলাম গল্প করব বলে। গিয়ে দেখি, ল্যাপটপে কিছু একটা করছে। আমি যেতেই বলল, দাদু তুমি বসো। আমি টিউশনে যাব। বসলাম ওর ঘরে। ল্যাপটপটা খোলাই ছিল। চশমা চোখে দিয়েও ভালো দেখতে পারি না। হঠাত মনে পড়ল আজ কত যুগ ধরে ফেসবুকে যাই না। অথচ যে ছেলেটা না এখনকার বুড়োটা একসময় দিন রাত ফেসবুকে চ্যাটিং, ছবি আপলোড দেওয়া নিয়ে ব্যাস্ত থাকতো। অনেক কষ্টে পাসওয়ার্ডটা মনে করলাম। আইডিটা লগ ইন করে দেখি ইনবক্সে ৮৬৭৮ টা ম্যাসেজ। আইডিটা চেনাই যাচ্ছে না। সব অপরিচিত লাগছে। ফ্রেন্ড সংখ্যা ছিল ৪৭৮৮ জন। কিন্তু এখন চ্যাট লিস্টে আছে ২৮ জন। বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ায় হয়ত ওরাও আর ফেসবুক চালায় না। ইনবক্সে ঢুকতেই আমার ক্লোজ কয়েকটা ফ্রেন্ডের ম্যাসেজ। বন্ধু শরীরটা ভালো নেই। বেশিদিন হয়ত বাচব না। ম্যাসেজটা ছিল ৫ বছর আগে। খবর পেয়েছি ৪ বছর আগেই সে মারা গেছে। আমার বেস্টুও ৯ বছর আগে মারা গেছে। ওর সাথে চ্যাটিং গুলো পড়ে খুব ভালো লাগছিল। গ্রুপে ফ্রেন্ডদের সাথে কত মজা, আড্ডা এ